শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
এই রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন। নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্রের মেরামত করা। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার করা হবে।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে একথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের মেরামত করে প্রতিহিংসা দূর করে জনগণের ঐক্য তৈরি করা। অনেকে এই ঐক্যের বিরুদ্ধে মানুষ লাগিয়ে বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্য বলেন, আপনারাও এ রাষ্ট্রের নাগরিক। বেআইনী আদেশ মানা অপরাধ। অন্যায় আদেশ, কোনো আদেশই হতে পারে না। গণগ্রেফতার বন্ধ করুন, তা না হলে দেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতে পারে। অতএব আইজিপি সাহেবকে বলবো, এসব অন্যায় আদেশ মানা থেকে বিরত থাকুন।
‘নির্বাচনের আর ১৩ দিন বাকি। এখনও যদি গ্রেফতার বন্ধ করা না হয়, তাহলে এটাকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায় না। পুলিশের ভূমিকা আসলেই দুঃখজনক। পুলিশকে এমন অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পুলিশই যেন জনগণের প্রতিপক্ষ। অথচ মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের গৌরব ভূমিকা রয়েছে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এদেশের বিপুল টাকা পশ্চিমা দেশগুলোতে পাচার করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের লুটপাট চলছে।
দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও সরকারের আচরণ শঙ্কিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।